ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উপ ও পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১
উপ ও পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে

ঢাকা : হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই আসনে উপ-নির্বাচন এবং ১২ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।



এ দুই ধরনের নির্বাচন সফল  করতে আশাবাদ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘উপ-নির্বাচন ও পৌর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, একটি শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের উপ-নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যাবলী
এ আসনে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন পাঁচ জন। এরা হচ্ছেন- রআম উবায়দুল আকবর চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), খালেদ হোসেন মাহবুব (বিএনপি), রেজাউল ইসলাম ভূঞা (জাতীয় পার্টি), ইউনুছ মিয়া (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি) এবং নিয়াজুল করিম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লুৎফুল হাই এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১০ এর ২২ নভেম্বর তিনি মারা যান।

এ আসনের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। ভোটকক্ষ ৫৯১টি। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ জন। নারী ভোটার এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৮ জন। মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন।

হবিগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যাবলী
এ আসনে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ছয় জন। এরা হচ্ছেন- ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), শেখ সুজাত মিয়া (বিএনপি), মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট মনমোহন দেবনাথ (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ) এবং শাইখ আব্দুল কাইয়ূম (খেলাফত মজলিস)।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দেওয়ান ফরিদ গাজী এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১০ এর ১৯ নভেম্বর তিনি মারা যান।

এ আসনের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি। ভোটকক্ষ ৬৪৩টি। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ জন। নারী ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৬১৯ জন। মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ এক হাজার ৪৪৭ জন।

পৌর নির্বাচন
দিনাজপুরের পার্বতীপুর, মাগুরা সদর, নরসিংদীর মাধবদি, নেত্রকোনার মদন, ফেনীর দাগনভুঞা ও কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, ভোলার চরফ্যাশন, মাদারীপুর সদর ও শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে।

এর মধ্যে চরফ্যাশন ও মহেশখালীতে কোস্টগার্ড এবং মাদারীপুর ও জাজিরায় র‌্যাব এবং বাকি আট পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচনী এলাকাগুলোয় একজন করে নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

এছাড়া ইসি সচিবালয়ের থেকে জারিকৃত এক বিশেষ পরিপত্রে ২৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বহিরাগতদের (যারা এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন) নির্বাচনী এলাকায় না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ভোটের একদিন আগে থেকে পরবর্তী দুই দিন পর্যন্ত।

গত ২৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে সবগুলো নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বহাল থাকবে।

সেই সঙ্গে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অনুমোদন ছাড়া সব ধরনের ট্যাক্সি ক্যাব, বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, কার, পিকআপ, বাস, টেম্পু, লঞ্চ, ইঞ্জিনবোট ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যা এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রগুলো পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার ও অঙ্গীভূত আনসার দায়িত্ব পালন করছে। একজন পুলিশের এসআই/এএসআই/সার্জেন্ট/হাবিলদারের নেতৃত্বে আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন আছে।

পাশাপাশি পৌর এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৯ জন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

উপ-নির্বাচনী এলাকায় প্রতি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আছেন ২৭ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।