ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বরাদ্দ হওয়া অর্থের অর্ধেকও খরচ করতে পারেনি নৌ মন্ত্রণালয়

এমএকে জিলানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১০

ঢাকা: নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। বরাদ্দ হওয়া অর্থের অর্ধেকও খরচ করতে পারেনি মন্ত্রণালয়টি।

সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে বরাদ্দ করা অর্থের মাত্র ৪৪ দশকি ১৯ শতাংশ খরচ করা হয়েছে।

এডিপি বাস্তবায়নে অসন্তোষের কথা স্বীকার করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে নৌ মন্ত্রী বলেন, ‘অগ্রগতি না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’

জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ১৯,৮৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মধ্যে প্রকল্প সহায়তা ছিল ৫২৯৭ লাখ টাকা। বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে ২০১০ সালের মে পর্যন্ত মোট ৮,৭৮৪.৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। যা মোট বরাদ্দের মাত্র ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

আগের অর্থ বছরে এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ ছিল ৮,৬২০ লাখ টাকা। ওই বছর এডিপির ৬০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়।

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠক গত ২৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌ মন্ত্রী এবং সচিব বলেন, ‘২০০৯-১০ অর্থ বছরে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। ২০১০-১১ অর্থ বছরে বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতভাগ অর্জন করতে হবে। ’

এডিপি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে ছয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, চারটি ১০৮ টিইইউ সেলফ প্রোপেল্ড মাল্টি পারপাস ইনল্যান্ড কন্টেইনার ভেসেল শীর্ষক প্রকল্পের সঙ্গে সাতজন সচিব জড়িত। বেসরকারি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি নিয়ে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছে। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পস্তির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং নদী বন্দর স্থাপনে বরগুনায় জমি অধিগ্রহণের বিষয় নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।