ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সুন্দরবনে জলদস্যু গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩ গুলিবিদ্ধ ৪

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১
সুন্দরবনে জলদস্যু গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩ গুলিবিদ্ধ ৪

সাতক্ষীরা: সুন্দরবনে জলদস্যুদের পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৩জন নিহত ও ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে এ দু’টি ঘটনা ঘটেছে।



পুলিশ ও জেলে সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, খুলনা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের হলদিবুনিয়ায় শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে জলদস্যু গামা ও জুলফিকার বাহিনীর বন্দুযুদ্ধে ২জন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হচ্ছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের আবু বক্কর শেখের ছেলে বসিরুল ইসলাম(২৮)  ও জেলার আশাশুনি উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের ভবনাথ বিশ্বাস(৩৭)।

গুলিবিদ্ধ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার নওয়াকাটি গ্রামের সুভাস চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে  মিলন বিশ্বাস(৩১), একই উপজেলার কাটিপাড়া গ্রামের আয়ূব গাজীর ছেলে শরিফুল গাজী(২৮), সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের পাগলা বিশ্বাসের ছেলে গণেশ বিশ্বাস(৪৫) ও একই গ্রামের গহর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলামকে (২৫) শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত বসিরুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ভবনাথ বিশ্বাসের লাশ পাওয়া যায়নি বলে বন থেকে ফিরে আসা জেলেদের সূত্রে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা বাংলানিউজকে জানান, দু’দিন আগে মাছ ধরার জন্য ৪০ জনের একদল জেলে খুলনা থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে  রওনা করেন। শুক্রবার রাত দেড়টায় তারা সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের হলদেবুনিয়ার শিবশা ও পশুর নদীর মোহনায় জলদস্যু গামা ও জুলফিকার বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের মাঝে পড়ে যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন বশিরুল ইসলাম, ভবনাথ, গনেশ বিশ্বাস ও জহুরুল ইসলামসহ ৬ জেলে।

তারা দাবি করেন, ঘটনার পরপর গুলিবিদ্ধ জেলে বশিরুল ও ভবনাথ মারা যান। জেলেরা বশিরুলের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারলেও ভবনাথের লাশ নদীতে পড়ে যাওয়ায় তা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শনিবার সকালে নিহত বসিরুলের লাশ নিয়ে সবাই লোকালয়ে ফিরে আসেন। দুপুরে আহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদী সংলগ্ন হাসখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বনদস্যু মান্নান বাহিনীর সঙ্গে মজনু বাহিনীর ঘণ্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় সমশের গাজী (২৬) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার পানখালী গ্রামে।

এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে মজনু বাহিনী প্রধান মজনু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সুন্দরবনের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শাহজান আলী খান জানান, বসিরুলের লাশের ময়না তদন্ত শেষে রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ ঘটনায় নিহত পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একটি সূত্র মতে, জলদস্যুদের পৃথক দু’টি বন্দুকযুদ্ধের মাঝে পড়ে দুই স্থানেই দেখা যাচ্ছে হতাহতদের প্রায় সবাই জেলে। বিষয়টি রহস্যজনক।

সূত্রের দাবি, হতাহতরা জলদস্যু হওয়াও বিচিত্র নয়।

বাংলাদশে সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।