ঢাকা: সংবিধান পুনর্মুদ্রণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
এক সপ্তাহ থেকে ১০দিনের মধ্যে পুনর্মুদ্রণের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী শনিবার বাংলানিউজকে বলেন, সংবিধান পুনর্মুদ্রণের কাজ দ্রুতই শেষ করার চেষ্টা চলছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে।
ব্যারিস্টার শফিক বলেন, কেবল সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আলোকেই সংবিধান পুনর্মুদ্রিত হচ্ছে।
তবে আদালতের রায়ে সপ্তম সংশোধনী বাতিলের বিষয়টি পুনর্মুদ্রণে আনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যে সব সামরিক ফরমান জারি করে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিলো আদালতের রায় অনুযায়ী সেগুলো সংবিধান থেকে বাদ যাবে।
সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি পুনর্মুদ্রিত সংবিধান যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের প্রস্তাব তৈরি করবে। কমিটির প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
এদিকে এর আগে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই সংবিধান পুনর্মুদ্রণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতিটি অনুচ্ছেদ, লাইন ধরে কাজ করতে হচ্ছে। এ কারণে পুনর্মুদ্রণে একটু দেরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর গত ২১ জুলাই জাতীয় সংসদে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান সংশোধন বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে এ কমিটি গঠিত হয়।
সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত এ সংসদীয় বিশেষ কমিটি ৬টি বৈঠকের পর সংবিধান পুনর্মুদ্রণের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১২ অক্টোবর কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের পর পুনর্মুদ্রণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১