ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এপ্রিলের মধ্যে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১
এপ্রিলের মধ্যে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে

কলকাতা: বাংলাদেশের জেলে আটক উলফার শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে এপ্রিলের মধ্যে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে নয়াদিল্লির একজন সরকারি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।

শুক্রবার সূত্র জানায়, ভারতের হাতে উলফার এই শীর্ষ নেতাকে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে ঢাকার পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও নীতিগতভাবে রাজি।

সূত্রটি আরও জানায়, সম্ভবত এপ্রিল মাস নাগাদ অনুপ চেটিয়া ছাড়াও উলফার ৩০ থেকে ৫০ জন মধ্য সারির নেতাকেও ফেরত পাঠানো হবে।

বর্তমানে ভারতের উত্তর-পূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশে আত্মগোপন থাকার সময় ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বসবাসের অভিযোগে এই শীর্ষ নেতা আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এক বছর হল তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এর আগে উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া, ভাইস চেয়াম্যান প্রদীপ গগৈ, ডেপুটি কমান্ডার-ইন চিফ রাজু বড়–য়া, পররাষ্ট্র সচিব শশধর চৌধুরী, প্রচার সচিব চিত্রবন হাজারিকা ও দুই শীর্ষ নেতা ভীমকান্ত বুরাগোঁহাই, মিথিঙ্গা দৈমারি ও তাদের পরিবার মেঘালয় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন।

উলফার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গ্রেফতারকৃতদের ধাপে ধাপে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনে মুক্তি পান অরবিন্দ রাজখোয়া। এই নেতার শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে দাঁড়ালেও উলফার অপর শীর্ষ নেতা পরেশ বড়–য়া এখন পর্যন্ত তা মানতে নারাজ।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অরবিন্দ রাজখোয়ার সঙ্গে যদি অনুপ চেটিয়াকেও পাওয়া যায়, তকে ভারত সরকার ও আসাম সরকারের পক্ষে পরেশ বড়ুয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে। অন্য দিকে আসামের ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা ভোটের আগে একটা শান্তির পরিস্থিত সৃষ্টি করা যাবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।