ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইত্তেফাকের পূর্ণ মালিকানা এখন মঞ্জুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১০

ঢাকা: সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী বাংলা দৈনিক ইত্তেফাকের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের সমঝোতা হওয়ার পর এবার আইনগত ভাবেও সম্পাদক প্রকাশকের পদ ফিরে পেলেন জাতীয় পার্টি(জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

বৃহস্পতিবার বর্তমান প্রকাশক সাজু হোসেন তার দায়ের করা এ সংক্রান্ত রিট আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।

প্রত্যাহারের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটি ফেরত দেওয়া হয়।

সম্পাদক- প্রকাশক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নাম প্রকাশিত হয়ে আসলেও গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে তাকে বাদ দিয়ে সম্পাদক রাহাত খান ও প্রকাশক হিসেবে সাজু হোসেনের নাম ছাপা হয়ে আসছিল।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ ইং তারিখে ঢাকার জেলা প্রশাসক ইত্তেফাকের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের নাম বাদ দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে চিঠি দেন। জেলা প্রশাসকের দেওয়া চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশক সাজু হোসেন একই বছরের ৫ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন এবং একইসঙ্গে সম্পাদক প্রকাশকের নাম প্রকাশের বিষয়ে স্থিতাবস্তা দেন।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর আইনজীবী ব্যারিস্টার রাবেয়া জামালী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে বলেন, এ রিট আবেদন প্রত্যাহারের ফলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সম্পাদক প্রকাশক হতে আর কোনো বাধা নেই।

উল্লেখ্য, ইত্তেফাকের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ২ মে পারিবারিকভাবে নিজ নিজ আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়।

সমঝোতা মোতাবেক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ইত্তেফাক ভবনের মালিকানা ও নগদ অর্থের বিনিময়ে ইত্তেফাকের মালিকানা ছেড়ে দেন। ওইসময় মালিকানা সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তও হয়েছিল। এরই মধ্যে ইত্তেফাক ভবন ছেড়ে দিয়ে নতুন জায়গা থেকে দৈনিকটি প্রকাশিত হচ্ছে। একই ধারাবাহিকতায় আজ রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।