ঢাকা: দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ আগস্ট ধার্য্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিন সকাল নয়টা পাঁচ মিনিটে মাহমুদুর রহমানসহ অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুনানি চলাকালে অপর চার আসামি জানান, প্রয়োজনে তারা আদালতের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইবেন।
তবে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইবো না। ’
শুনানিতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ছাড়াও ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক- উল- হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান।
শুনানি শেষে মাহমুদুর রহমানকে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল- হক এ সময়ে আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এভাবে কোনও ব্যক্তিকে কারাগার থেকে আদালতে আনার নজির নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের এটা হলো ইতিহাস। ’
উল্লেখ্য, দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘চেম্বার জজ মানেই সরকারের পক্ষে স্থগিতাদেশ ’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিয়াজউদ্দিন খান ও মাইনুল হাসান পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার মামলা করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১০৪১ ঘন্টা, ০৯ জুলাই, ২০১০