ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিগগিরই মোবাইল সিমকার্ড সংক্রান্ত নীতিমালা

উবায়দুল্লাহ বাদল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১০

ঢাকা : মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সিম ও রীমকার্ড বিক্রি নীতিমালা শিগগিরই চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।



নীতিমালায় জুলাই মাসের মধ্যেই অভিন্ন পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম ও রিমকার্ড বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়েছে। সিমকার্ড পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাকে ন্যুনতম এসএসসি পাশ হতে হবে বলেও খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়াও আগস্টের মধ্যে সিম ও রিমকার্ড পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদন শেষ করতে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, “শিগগিরই মোবাইল ফোনের সিম ও রিমকার্ড বিক্রির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। ”

তিনি জানান, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে সিমকার্ড বিক্রির ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতির সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানান । ১৮ বছরের নিচে কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। কেউ সিমকার্ড কিনতে চাইলে ভোটার আইডি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তার দেওয়া তথ্য মেলানো হবে।

পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতারা এ নীতিমালা না মানলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরকে সিম বিক্রয়কারী পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা বিটিআরসি-তে জমা দিতে বলা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে সিম ও রিমকার্ড পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের ব্যবহৃত টেলিফোন/মোবাইল নিবন্ধন ফরম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহে রাখতে হবে। অপারেটরের অনুমতি ছাড়া কোনো খুচরা বিক্রেতা অন্য কাউকে সিম ও রিমকার্ড বিতরণের দায়িত্ব দিতে পারবে না।

নীতিমালায় আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে এএনএস (মোবাইল, পিএসটিএস) অপারেটরদের নতুন গ্রাহক নিবন্ধন ফরম ব্যবহার শুরু করার কথা বলা হয়েছে। একই সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ থেকে অফলাইন ভেরিফিকেশন ও আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে অনলাইন ভেরিফিকেশন শুরু করা হবে। একই সময়ে শুরু করতে হবে আগের গ্রাহকদের অনলাইন ভেরিফিকেশন। ২০১১ সালের জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজের সঙ্গে গ্রাহক নিবন্ধন ফরমের গরমিল পাওয়া গেলে নতুন করে গ্রাহক নিবন্ধন ফরম পূরণ করারও বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের এ প্রক্রিয়া তদারকি করতে সুপারভাইজরি কমিটি গঠন করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও র‌্যাব, অপারেটর প্রতিনিধি এবং বিটিআরসির সমন্বয়ে গড়া উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি অপারেটরদের কাজ তদারকি করবে।

বাংলাদেশ সময় ২২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ