ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রাইব্যুনালকে যুদ্ধাপরাধের তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১০

ঢাকা : গ্রেপ্তারকৃত জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য আছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবীর।

বুধবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ঢাকা সহায়ক মঞ্চের সাত সদস্যের ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।



আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাবুনাল ঢাকা সহায়ক মঞ্চের সাত সদস্য হলেন- বিচারপতি গোলাম রব্বানী, শাহরিয়ার কবীর, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, কাজী মুকুল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও সুলতান মাহমুদ সীমন।

আজ তারা ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষে প্রসিকিউটর এবং তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঢাকা সহায়ক মঞ্চ এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।

শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘আমরা ১৮ বছর ধরে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে যুদ্ধাপরাধের তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমরা এগুলো আজ ট্রাইব্যুনালের কাছে জমা দিলাম। ’

তারা গণহত্যার সাক্ষীদের জবানবন্দী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কাছে থাকা আর্কাইভ চলচ্চিত্র ট্রাইবুনালের কাছে জমা দেন।

আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঢাকা সহায়ক মঞ্চের পক্ষ থেকে ৯টি সুপারিশ সম্বলিত একটি চিঠি অর্থমন্ত্রী, আইন ও বিচারমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, এবং পূর্তপ্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সারা পৃথিবীর খ্যাতনামা আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে ঢাকা সহায়ক মঞ্চ গঠন করেছি শুধু ট্রাইবুনালকে সহযোগিতা করার জন্য।

জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে যুদ্ধাপরাধীর মামলার অধীনে আনা হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের মামলা কোনো ফৌজদারী মামলা নয় যে তার বিচার ফৌজদারী আদালতে হবে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার এখতিয়ার একমাত্র এই ট্রাইবুনালের। ’
 
ওই তিন শীর্ষ নেতাকে যুদ্ধাপরাধীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তে যদি দেখা যায় তারা অপরাধী, তাহলে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই নেবে।

এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে গঠিত গণতদন্ত কমিশনের তদন্তে দেখা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত এই তিনজনসহ মোট সতের জনের বিরুদ্ধে তাদের কাছে পর্যাপ্ত লিখিত, দৃশ্যমান ও মৌখিক প্রামাণিক দলিল আছে। ’
 
চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমরা যথাযথ ভূমিকা পালন করছি। সরকার আমাদের সাহায্য করছে। ’ এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি সাংবাদিকদেরও অনুরোধ করেন।

টিপু বলেন, ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিচার করা একটি জাতীয় সমস্যা। এটাকে আমরা জাতীয়ভাবেই মোকাবেলা করতে চাই এবং আমরা অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমাদের আইনগত সীমাবদ্ধতার কোনো অবকাশ নেই। ’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রসিকিউটর প্যানেলের সদস্য জিয়াদ আল মালুম এবং তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।