ঢাকা: সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য সরকার জিডিপির (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) ২.৫ ভাগ ব্যয় করলেও এঈঠ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও মাত্রাতিরিক্ত প্রশাসনিক ব্যয় সরকারের এই উদ্যোগকে ব্যাহত করছে।
দুর্নীতি এড়াতে ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর, কাবিখা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরাসরি খাদ্যপণ্য না দিয়ে নগদ অর্থ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস এর সম্মেলনকেন্দ্রে বুধবার ‘সেফটি নেট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন বক্তারা।
বিআইডিএস-এর পরিচালক এম কে মুজেরির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। বিশেষ আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী অতি জরুরি। এর বাস্তবায়নে সব রকম অসঙ্গতি দূর করতে হবে।
অসঙ্গতির জন্য এর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার, প্রশাসনিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। এ সব জটিলতার সমাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করলে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসবে। ’
ড. শামসুল আলম জানান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাত্র ১০ ভাগ অর্থ শহরাঞ্চলে ব্যয় হয়। কিন্তু অতিদরিদ্রের ৩৫ শতাংশই শহরে বাস করে। এক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন বলে তিনি মত দেন।
এছাড়া সারাদেশে মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় রয়েছে বলে তিনি অনুষ্ঠানে তথ্য দেন।
বাংলাদেশ সময় ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১০।