ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রামে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০

চট্টগ্রাম: ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।

চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও খুলশী থানার সাবেক অফিসার ইন চার্জ (ওসি) ইফতেখার হাসান ও খুলশী থানার  উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনসারুল করিমের এ মামলা করেন এনায়েত বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী শ্রী শচীন্দ্র লাল দে।



বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ এনামুল হক ভূইয়ার আদালতে এই মামলাটি হয়েছে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় এ মামলা তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

দুনীর্তি দমন কমিশনের (চট্টগ্রামের ) পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শচীন্দ্র লাল দে ২০০৮ সালে সীতাকুণ্ড থেকে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় খুলশী থানার সদ্য বিদায়ী ওসি ইফতেখার হোসেন বাদী শচীন্দ্র লাল দে’কে থানায় ডেকে পাঠান। এসময় ওসির কক্ষে বসা অবস্থায় তিনি এসআই আনসারুরল করিমকে ডাকেন। তখন অনসারুল করিম এসে বলেন বাদী ওসির বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, ওই টাকা এখনই বাদীকে পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য তাকে প্রায় এক ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয়। পরে তার পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে শচীন্দ্র লালকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দুদকের পিপি সানোয়ার আহমেদ জানান এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির-১৬১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর (২) ধারায় আদালতে মামলা করেছেন শচীন্দ্র লাল দে।

মামলার বাদী শচীন্দ্র লাল দে এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে খুলশীর ওসির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সামপ্রদায়িকতার আভযোগ করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে দুদকের আশ্রয় নিয়েছি। ওসি এখনো বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। ’

মামলার বিবাদী খুলশীর সাবেক ওসি ইফতেখার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সব মিথ্যা, শচীন্দ্র লালের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার মামলা করায় এসব আবোল তাবোল বকছে। ’

‘শচীন্দ্র লালকে কখনো থানায় ডাকা হয়নি। তাকে পেলে তো তো কোর্টে চালান দিয়ে দিতাম’, দাবি করেন তিনি।  

দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন , ‘এ ব্যাপারে আমার  কিছু জানা নাই। আদালত যেহেতু মামলা হয়েছে আদালতই বলতে পারবে। এটা আমার ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার না। তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad