ঢাকা: জীবনঘাতী নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যু কমানো সম্ভব। এজন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় জাতীয় প্রেসকাবে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস-২০১০ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে জনসচেতনতা বাড়াতে সেভ দ্য চিলড্রেন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, শিশুদের জন্য নিউমোনিয়া একটি মারাত্মক জীবনবিনাসী রোগ। বিশ্বে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজন ও প্রতিদিন গড়ে চার হাজার শিশু মারা যায়। বাংলাদেশে এ হার প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৪০ জন এবং বছরে প্রায় ৫০ হাজার শিশু মারা যায়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংসদ অধ্যাপক এম এস আকবর বলেন, ‘বর্তমান সরকার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ’
এ কাজে জন সাধারণের মাঝে সচেতনতা আনতে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ে যথাযথ প্রচারণা চালালে নিউমোনিয়ার মতো রোগে শিশু মৃত্যু অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। ’
জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান বলেন, ‘আমাদের হাতে সচেতনতা নামক শিশু মুত্যু কমিয়ে আনার হাতিয়ার আছে। ’
এছাড়া নতুন আবিষ্কৃত নিমোককাল টিকা সময় মতো দিতে পারলে ৬০ ভাগ শিশু মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান তিনি।
বক্তারা বলেন, মায়ের বুকের দুধপান, পুষ্টিমান উন্নয়ন, টিকা দেওয়া এবং অসুস্থকালীন যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারলে বাংলাদেশে এক চতুর্থাংশ মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ সময় বক্তারা মায়ের বুকের দুধের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, অন্তত ছয় মাস মায়ের বুকে দুধ পান করলে সেসব শিশু ২০ ভাগ বেশি মেধাবী হয়।
বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নাজমুন নাহার, ড. এবিএম জাহাঙ্গীর আলম, ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০