মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার একটি মন্দিরের কুয়া (কূপ) থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এক মা ও তার দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ।
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মুমিত আশুক জানান, সকালে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের শিলুয়া চা বাগানের বড়লাইন মন্দিরের কুয়ায় চা শ্রমিক প্রেমচাদ লোহারের স্ত্রী শীলা রানী লোহার (৩১) ও তার ছেলে দিপ্ত লোহার (৭), মেয়ে দিপ্তী লোহারের (২) লাশ ভেসে ওঠে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে জুড়ী থানার অফিসার ইন চার্য মো. হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, কুয়া থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
শীলা রানী লোহারের স্বামী প্রেমচাদ লোহার বাংলানিউজকে জানান, বুধবার রাতে অন্যান্য দিনের মতো রাত ১১টায় তার পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। স্ত্রী ও দুই সন্তান বসত ঘরের অপর কক্ষে ঘুমাচ্ছিল। সকালে প্রতিবেশীরা তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ ভেসে থাকতে দেখে তাকে ডেকে তুলেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আজির উদ্দীন মাস্টার ও গোয়ালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন লেমন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০