যশোর: যশোরে চার জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবু বক্কার গাজী নামে এক ব্যক্তি তার ফুফাতো ভাইকে হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল শাহাদতের আদালতে এ মামলা করেন।
বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মণিরামপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত ভজন বিশ্বাসের ছেলে ইমান আলী বিশ্বাস, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত মুন্সী আব্দুল হামিদের ছেলে হাফিজ, পাতন গ্রামের মৃত এয়াকুব আলীর ছেলে মেহের জল্লাদ ও মাছনা গ্রামের মৃত ফটিক মোড়লের ছেলে আবুল হোসেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, অভিযুক্তরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে রাজাকার দলে যোগ দেন। তারা স্বাধীনতাকামী ব্যক্তিদের হত্যার সঙ্গে প্রত্যভাবে জড়িত। তারা ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।
মামলার বাদির ফুফাতো ভাই আলীম মোড়ল দেশমাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি স্বাধীনতার পে জনগণকে সংগঠিত করতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিতেন। এ সংবাদ জানার পর আসামিরা তার উপর প্তি হন।
১৯৭১ সালের ২০ জুলাই অভিযুক্ত ইমান আলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে অন্য আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জন রাজাকার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলীম মোড়লের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় তারা আলীম মোড়লের হাত ও চোখ বেঁধে ফেলেন। এরপর তার ঘর থেকে স্বর্ণালংকারসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করেন।
পরে তারা আলীম মোড়লকে মণিরামপুর রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যান।
ওই রাতেই পাঁচকাটিয়া গ্রামের মুকুল মল্লিকের বাড়িতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তারা আলীম মোড়লের শরীরে বেয়োনেট দিয়ে আঘাত করেন।
পরে মামলার বাদি আবু বক্কার গাজীসহ স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে দাফন করেন।
এ ঘটনায় ওই সময়ে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরিবেশ অনুকূল না থাকায় এ ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি।
বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করায় ন্যায়বিচারের আশায় এ মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০