ঢাকা : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের স্থানীয় দুটি সংগঠন সরকারের পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের ‘জীবন সম্পদ রক্ষা কমিটি’ একনেকের প্যাকেজের পক্ষে কথা বললেও ‘ভুমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটি’ এই প্যাকেজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
সরকার নির্ধারিত ‘পুর্নবাসন প্যাকেজ’ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া খনি এলাকা ও এর আশপাশের ৮ গ্রামের সাধারণ মানুষের মতামত সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া জীবন-সম্পদ রক্ষা কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল।
অন্যদিকে, ভুমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটি সরকার নির্ধারিত পুনর্বাসন প্যাকেজ প্রত্যাখান করে পেট্রোবাংলার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবার্হী কমিটি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘কমপেনসেশন প্যাকেজ ফর রিহ্যাবিলিটেশন দি অ্যাফেক্টেট পিপল অফ বড়পুকুরিয়া কোল মাইন (সেন্ট্রাল পার্ট)’ এর আওতায় একশ ৯১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
ইব্রাহিম খলিল বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘আজকের একনেকে যে প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে তা দু’মাস আগেই ভূমি প্রতিমন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন। বড়পুকুরিয়ায় এসে ঘোষণাও করেছেন। এখন একনেকে অনুমোদন হওয়ায় আমরা নিশ্চিত হলাম যে, মন্ত্রীর ঘোষণা মিথ্যা ছিল নয়। ’
তিনি বলেন, আমরা সরকার-নির্ধারিত প্যাকেজ নিয়ে গ্রামবাসী একমত কি-না সে বিষয়ে মতামত সংগ্রহ করছি। এরই মধ্যে আমরা বাঁশপুকুর, বৈদ্যনাথপুর, পাতড়াপাড়ায় গ্রামবাসীর মতামত নিয়েছি। তাদের অনেকেই সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের সঙ্গে একমত।
তবে ক্ষতিপূরণের টাকা যাতে সম্পূর্ণ পাওয়া যায় এবং টাকা সরাসরি পেট্রোবাংলা থেকে নেওয়ার বিষয়ে জনমত গঠন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বড়পুকুরিয়া ভুমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘গেল রমজানের আগে পেট্রোবাংলার সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার বাস্তবায়ন চাই। সরকার নির্ধারিত পুনর্বাসন প্যাকেজ আমরা চাই না। ’
তিনি আরও জানান, সরকার নির্ধারিত প্যাকেজ বড়পুকুরিয়ার জনগণ প্রত্যাখান করেছে। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময় : ২১৩৫, নভেম্বর ০৯, ২০১০