ঢাকা: এখন থেকে ইভটিজিংয়ের অপরাধে তাৎক্ষণিক এক বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইভটিজিং প্রতিরোধে ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন’ এ একটি নতুন ধারা সংযোজনের ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা এ ক্ষমতা পেলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযোজিত অংশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই এ আইন কার্যকর হয়েছে।
নতুন সংযোজন অনুযায়ী, কোনো নারীর অসম্মান হয়, শালীনতাহানিকর অঙ্গভঙ্গি, কটূক্তি বা শারীরিক বহিঃপ্রকাশ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যেকোনো ইভটিজারকে তাৎণিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু আইন সংশোধনের করার কথা বলেছিলেন।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘ইভটিজিং-এ জড়িত সন্তানের বাবা-মা এবং অভিভাকদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অন্য সব মামলার বিচার করতে সময় লাগলেও এ আইন অন্তর্ভুক্ত করা হলে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার করা যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১০