রাজবাড়ীঃ পিতাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রাজবাড়ীতে পুত্রসহ ২ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- ছেলে সোহাগ ও প্রতিবেশী আলিম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় মামলার বাদী দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগের মা মোছাঃ মুক্তা বেগমসহ আত্বীয়-স্বজন অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মামলার রায়ে বিজ্ঞ বিচারক অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৭সেপ্টেম্বর বালিয়াকান্দি উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী লোকমান সেখের ছেলে আলিম দরজায় নক করে চাচা চাচা বলে ডাকতে থাকে। পরিচিত জনের কণ্ঠ বুঝতে পেরে দরজা খুলে দিলে ছেলে সোহাগ তার হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে প্রথমে তার মা মুক্তা বেগমের ডান হাতে আঘাত করে।
পরে সোহাগ সঙ্গীয় আলীমের সহযোগিতায় পিতা হাবিবুর রহমানকে হাতে থাকা ছোরা দিয়ে বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে । এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাবিবুর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মুক্তা বেগম নিজে বাদী হয়ে ছেলে ও তার সঙ্গীকে আসামি বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১০