ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি দলীয় শিক্ষানীতি হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০
বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি দলীয় শিক্ষানীতি হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষানীতিই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান সরকারের প্রণীত শিক্ষানীতি কোনো দলীয় শিক্ষানীতি হবে না।

এটা হবে জাতীয় শিক্ষানীতি।
নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দান এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি ।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে পিকেএসএফ-এর ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় শিক্ষানীতি প্রণয়ণে মূল্যবান মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে দারিদ্র ও সুযোগ-সুবিধার অভাব। শিক্ষার হার বাড়াতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। এখনো ৯ শতাংশ শিশু শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত এবং ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে যায়। মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়লেও উচ্চতর পর্যায়ে তা কমে যাচ্ছে। সামাজিক বিষয় ছাড়াও নিরাপত্তা এর একটা বড় কারণ।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে সর্বক্ষেত্রেই তাদের অংশগ্রহণ কমে যাবে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি ছেলে-মেয়ে উভয়েরই মানসিকতার পরিবর্তন এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক। পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, পিকেএসএফ প্রথমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল, বিএনপি সরকারের আমলে এটাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়। সংস্থার কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটাতে সাবেক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।

পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ বলেন, বিশ বছর আগে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণের মধ্যে দিয়ে পিকেএসএফ-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। গত বছর এর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকায়। কিন্তু শুধু দারিদ্র বিমোচন বা একটি মাত্র লক্ষ্য নিয়ে খুব বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

তাই দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্যও পিকেএসএফ-কে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।