ঢাকা: প্রতিবছর জীবিকার তাগিদে চার লাখেরও বেশি শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছেন। এদের অনেকেই আবার বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নিরাপদ অভিবাসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন আইওএম আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ছিলেন আইওএম আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, ঢাকার জাতীয় প্রোগ্রাম সমন্বয়ক আসিফ মুনীর। আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির আরেক সমন্বয়ক দিসা ফারুক এবং এশিয়াটিক মার্কেট যোগাযোগ লিমিটেডের সামাজিক যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক তারিনা রহমান।
আসিফ মুনীর বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো অসহায় শ্রমিকদের সহযোগিতার ব্যাপারে আন্তরিক নয়। শ্রমিকরা সমস্যায় পড়লে তারা সহজে এগিয়ে আসতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অথচ প্রবাসীদের দু:খ দেখার যেন কেউ নেই।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে পাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কিন্তু তারপরও পরও নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হচ্ছে না।
তানিয়া রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর কত সংখ্যক নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে বা কাজের সন্ধানে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান কেউ দিতে পারে না। বিষয়টি খুবই দু:খজনক।
বক্তারা নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০