ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নদী তীরের মসজিদ স্থানান্তরে ইতিবাচক সাড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০

ঢাকা: নদীর নাব্যতা রক্ষায় অবৈধ জায়গায় নির্মিত মসজিদ স্থানান্তরে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ২৮ মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির নেতারা স্থাপনাগুলো স্থানান্তরে সম্মত হয়েছেন।



মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে নদীর তীরবর্তী  সরকারি জায়গায় বিনা অনুমতিতে নির্মিত মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনা স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে নৌ-মন্ত্রী বলেন, ‘শরীয়াহ অনুযায়ী বৃহত্তর জনস্বার্থে সরকারি জায়গায় বিনা অনুমতিতে নির্মিত মসজিদ মাদ্রাসা স্থানান্তর করা যায়। এক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির নেতারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ’

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,  মসজিদ কমিটির নেতা ও  জনগণ সহায়তা করবে। সরকার মসজিদ-মাদ্রাসা স্থানান্তরে ও পুনর্নির্মাণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা করবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘নদীর প্রতি অযতœ আর অবহেলার কারণে নৌপথ ধবংস হওয়ার পথে। নৌপথকে সচল করতে  প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নদী পথের নাব্যতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য তিনটি ড্রেজার কেনার চুক্তি হয়েছে। আরো ১৭টি ড্রেজার কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’

বৈঠকে সাংসদ একেএম রহমত উল্লাহ, নৌ-সচিব মো. আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মো. আফজাল, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতীব অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিন এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে মানুষকে আরো সচেতন করতে জুম্মার নামাজের আগে  সে সম্পর্কে বয়ান করতে ইমামদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad