ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ বিচারে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিন: মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১০

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিলে তাদের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখানো হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নবনির্বাচিত নেতরা।

’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল শনিবার রাজধানীতে এক বিক্ষিাভ মিছিলের আয়োজন করে।

মিছিলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন থেকে শুরু হয়ে মৎস্যভবন-হাইকোর্ট পেরিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হেলাল মোরশেদ খান (বীর প্রতীক)।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৮০টি উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন অপতৎপরতার প্রতিবাদে একযোগে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের গ্রেফতারকৃত শীর্ষ নেতাদের বিচার কাজ শেষ করে এ সরকারের আমলেই তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে হবে। এটা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রাণের দাবি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য যে হুমকি দিচ্ছে সে হুমকি পর মুক্তিযোদ্ধারা বসে থাকতে পারে না। এরই প্রতিবাদে আজ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের শুরু করেছে তা বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

শীর্ষ জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে হেলাল মোরশেদ বলেন, চিহ্নিত এবং ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আনন্দিত। কিন্তু আরও যেসব যুদ্ধাপরাধী দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করতে হবে, না হলে জামায়াত-শিবিরের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।

তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাহত যেসব মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের সময় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে আজ হুইল চেয়ারে বসে আছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের সময় সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিলেই তাদের যথার্থ সম্মান দেখানো হবে।

নিজামী, মুজাহিদরা হুমকি দিয়ে দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করছে তার প্রতিবাদে তিনি সংগঠনের সদস্য উদ্দেশে বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যেসব রাজাকার-আলবদর স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদের বিচার করে দেখিয়ে দিতে হবে আমরাও শক্তিশালী।

বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহসভাপতি সুলতানউদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ খান, সহসভাপতি সৈয়দ শামসুল কাওনাইন কুতুব, মহাসচিব মনোয়ারুল হক খান লাভলু, মহাসচিব মঞ্জুরুল হক, যুগ্মমহাসচিব শফিকুল বাহার টিপু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীরপ্রতিক।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।