ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একনেকে ৩১৩৬ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১০
একনেকে ৩১৩৬ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা: তিন হাজার ১৩৬ কোটি টাকার ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এর মধ্যে জিওবি এক হাজার ৪১৪ কোটি টাকা, জেডিসিএফের ৪০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য রয়েছে এক হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।



মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রকল্পটি হলো পল্লী উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।
 
অনুমোদিত বাকি প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন, শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম, রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, বিভাগীয় সদর রংপুরের সওজের সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন, বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম-চাঁদপুর সেকশনের পুনর্বাসন, মাগুরা-মোহাম্মদপুর-কালিশঙ্করপুর-নোহাটা-লোহাগড়া সড়ক উন্নয়ন, পলিউশান কন্ট্রোল মেজারস অব গুলশান-বারিধারা লেক বাই ডাইভার্টিং দ্য ড্রেনেজ আউটলেটস প্রকল্প।

পল্লী উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০০৩ হতে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে পল্লী অর্থনীতির দ্রুত বিকাশে সহায়তা করা, অবকাঠামো নির্মাণ, রণাবেণ কাজের মাধ্যমে দুঃস্থ মহিলাসহ গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং কৃষি ও অকৃষিখাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া ও দতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সু-শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন কাল জুন ২০১০ হতে ২০১৪। কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় আধুনিক উচ্চতর কৃষি পদ্ধতির সৃষ্টির লক্ষে ব্যবহারিক জ্ঞান সম্পন্ন উচ্চমানের দ কৃষি গ্রাজুয়েট সৃষ্টি, উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিণ সৃষ্টির লক্ষে বই-পুস্তক, জার্নাল ক্রয়, সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা সফরের সুযোগ সৃষ্টি, গবেষণাগার, খামার ও অফিসের জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, যানবাহন ক্রয় এবং অবকাঠামোগত সহযোগী লোকবলের আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি।

শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রমে ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়েছে ৩৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা, বাকি ২৩ কোটি ৮০ লাখ দেবে ইউনিসেফ।

রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর বাস্তবায়নকাল হবে জুলাই ২০১০ হতে জুন ২০১২। প্রকল্পের উদ্দেশ্য শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে রাজশাহী সিটির অনুন্নত এলাকার ভৌত অবকাঠামোগুলোর উন্নয়ন, বাণিজ্যিক সুবিধাদি দেওয়ার মাধ্যমে শহুরে দারিদ্র্য হ্রাস।

বিভাগীয় সদর রংপুরের সওজ এর সড়ক প্রশস্থকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল হবে নভেম্বর ২০১০ হতে জুন ২০১৩। এর মূল উদ্দেশ্যে রংপুর পৌর এলাকার বিদ্যমান সওজ এর সড়ক প্রশস্তকরণ, যানজট হ্রাসকরণ, নিরাপদে যানবাহন যাতায়াত, অবৈধ দখলদারিত্ব হ্রাস এবং প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
 
বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম-চাঁদপুর সেকশনের পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে পুরোপুরি সরকারের অর্থায়নে। সড়ক ও রেলপথ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল হবে জানুয়ারি ২০১১ হতে জুন ২০১৩।

মাগুরা-মোহাম্মদপুর-কালিশঙ্করপুর-নোহাটা-লোহাগড়া সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়ক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নততর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন হবে জুলাই ২০১০ হতে জুন ২০১৩-এর মধ্যে।

পলিউশান কন্ট্রোল মেজারস অব গুলশান-বারিধারা লেক বাই ডাইভার্টিং দ্য ড্রেনেজ আউটলেটস প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০১০ শেষ দিকে শুরু হয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১২ সালের জুনে। গুলশান ও বারিধারা লেকে পতিত ড্রেনেজ লাইনগুলো নিষ্কাশন খালে সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমে গুলশান ও বারিধারা লেকের দূষণ রোধের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য পরিবেকবান্ধব সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।