ঢাকা: ইভটিজিং রোধে জেলা প্রশাসকদের প্রতি হাই অ্যালার্ট জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ঈমান আলী এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বেঞ্চ এই আদেশ জারি করেন।
জেলা প্রশাসকদের পাশাপাশি একই সঙ্গে আদালত পুলিশ প্রশাসনের প্রতিও এই আদেশ জারি করেছেন। আদালত জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
আদালত একই সঙ্গে সরকারের ৭ টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী জনস্বার্থে ইভ টিজিং রোধে কেন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে একটি রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্ট উক্ত নির্দেশনা দিয়েছেন এবং ইভ টিজিং রোধে কেন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি।
রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের মহাপরিদর্শককে আদালত ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া যারা ইভ টিজিংয়ের শিকার তাদের পরিবারকে পুরোমাত্রায় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন। ইভটিজারদের যতো দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ মোট ৭ টি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই কমিটি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে । এই নীতিমালা আগামী ১ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দিতে হবে। আদালত আগামী ৬ ডিসেম্বর আবার এই রিটের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আদালত তার আদেশে বলেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং তারা সেটা পালন করছেন। তবে তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আদালত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে এস নবী, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার ও ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল।
বাংলাদেশ সময় ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১০