ঢাকা: যাত্রাবাড়ীর আলোচিত তিন খুনের মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেছেন আসামি হীরার স্ত্রী ও দেলোয়ার ওঝার পুত্রবধূ লাবনী আক্তার।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লাবনী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সুমন, লিপ্টন ও লিঙ্কন নামে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করলেও দু’দিন পরে লিপ্টন ও লিঙ্কনকে ছেড়ে দেয়। অথচ লিপ্টন ও লিঙ্কন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী । তাদের নামে থানায় মামলা রয়েছে। ’
লাবনীর অভিযোগ, মূল আসামি সুমন পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অন্য হত্যাকারী হিসাবে লিঙ্কন ও দেলোয়ার হোসেন দিলু ওরফে কাঠদিলুর নাম প্রকাশ করেছে, সেখানে পুলিশ কাঠদিলুর পরিবর্তে তার শ্বশুর দেলোয়ার ওঝা ও স্বামী হীরাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করছে।
লাবনী বলেন, ‘পুলিশ প্রতিবেদনে আমার স্বামী ও শ্বশুরকে পেশাদার খুনি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ তাদের নামে থানায় কোনও মামলা বা অভিযোগ নেই। ’
এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দণি) উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সুমনের দেওয়া তথ্যমতে পিস্তল, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ মামলার সব আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হীরা ও তার সৎ বাবা দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির সঙ্গে সুমনের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে। ’
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কের নিজ বাড়িতে খুন হন মিজানুর রহমান তার স্ত্রী বীথি রহমান এবং মা সুফিয়া খাতুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১০