ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝিলমিলের আয়তন বাড়ছে না, ডিসেম্বরে প্লট বরাদ্দ

আহমেদ রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১০
ঝিলমিলের আয়তন বাড়ছে না, ডিসেম্বরে প্লট বরাদ্দ

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার ওপারে রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের আয়তন বাড়ছে না। তবে আগামী ডিসেম্বরে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ দেবে রাজউক।

ভবিষ্যতে প্রকল্পটিতে ফ্ল্যাট নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজউকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানায়।

ঝিলমিলের প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১০ হাজার প্লট ও ২ লাখ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল। দ্বিতীয় প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করেনি। তাই ঝিলমিলের আয়তন আর বাড়ছে না ’

তিনি বলেন, ‘তবে প্রকল্পটির অবশিষ্ট প্লট আগামী ডিসেম্বরে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ’  

রাজউক জানায়, রাজধানীর আশপাশের প্রায় সব এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নতুন নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে। কিন্তু বুড়িগঙ্গার ওপাড়ে কোনো পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠেনি। তাই সেখানকার বিশাল এলাকা এখনও খালি রয়েছে।

রাজধানী থেকে মানুষের চাপ কমাতে রাজউক ১৯৯৭ সালে ঝিলমিল প্রকল্পটি হাতে নেয়। প্রকল্পটির আয়তন প্রথমে ৩ শ’ ৮১ একর এলাকা ধরা হয়েছিল। এতে আড়াই কাঠা, তিন কাঠা, ৫ কাঠা ও সাড়ে ৭ কাঠার ১ হাজার ৬ শ’ ৬৪টি প্লট রয়েছে।

কয়েক দফায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও রাজউক নগরবাসীর কাছ থেকে তেমন সাড়া পায়নি। প্রকল্পটিতে প্লট বরাদ্দ পেতে ৫ শ’ ১টি আবেদন জমা পড়লেও কিছু আবেদনকারী তাদের জামানতের টাকা তুলে নেন এর মধ্যেই। এখনও ১ হাজার ২ শ’ প্লট অবিক্রিত রয়েছে। এ প্লটগুলোই এখন বরাদ্দের উদ্যোগ নিচ্ছে রাজউক।
 
রাজউক কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর সঙ্গে ঝিলমিলের ভালো যোগাযোগ না থাকায় প্রথম দিকে তেমন সাড়া পাওয়া না গেলেও বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু চালু হওয়ার পর প্রকল্পটির প্রতি নগরবাসীর আগ্রহ বেড়েছে। এ কারণেই ১ হাজার ৭ শ’ ২১ একর এলাকা নিয়ে দ্বিতীয় প্রকল্পের আয়তন সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক।

রাজউক জানায়, বছরখানেক আগে প্রকল্পটি রাজউকের বোর্ড সভায় অনুমোদন পেয়েছে। বোর্ডে অনুমোদনের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে বিভিন্ন আয়তনের ১০ হাজার আবাসিক প্লট ও ২ লাখ ফ্ল্যাট তৈরির প্রস্তাব ছিল।

প্রকল্পটি সম্প্রসারণে মন্ত্রণালয়েরও নীতিগত সম্মতি ছিল। কিন্তু এখন মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি সম্প্রসারণে অনুমোদন দিচ্ছে না বলে রাজউক কর্মকর্তারা জানান।

রাজউক সূত্র জানায়, ঝিলমিলের পুরনো প্রকল্পে এখন মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ৮৫ ভাগ মাটি ভরাটের কাজ। খুব শিগগিরই মাটি ভরাটের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। ২০১১ সালে শেষ হবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার কাজ।
 
রাজউকের অন্যান্য প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা থাকবে ঝিলমিলে। ঝিলমিল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে ধলেশ^রী নদী। ধলেশ্বরীর পানি নলের সাহায্যে টেনে এনে ট্রিটমেন্ট প্লান্টের সাহায্যে পরিশোধন করে তা সরবরাহ করা হবে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য।

এছাড়া নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে বেশি বহুতল ভবন নির্মাণে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ঝিলমিলে সেই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। প্লটের বাইরেও সেখানে ফ্ল্যাট নির্মাণে আলাদা জমি রাখা হচ্ছে। পরে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ১০ হাজার ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।