সাভার: পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এবার চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অভিযান চালিয়ে বিনিয়োগকারী দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সমুদ্র ও নদী দূষণের বিরুদ্ধে চলমান অপারেশন ‘প্রিভেন্ট এনভায়রমেন্টাল ক্রাইম’-এর আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল সিইপিজেডে রোববার দিনভর এ অভিযান চালায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহায়তায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।
অভিযানকালে ইপিজেড-এর ৭ নম্বর সেক্টরের মেসার্স ড্রিম নিটিং লিমিটেড ও জেএফ টেক্সটাইল লিমিটেডের নামের দুটি শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট (ইটিপি) কার্যকর না থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
ইটিপি না থাকায় প্রতিষ্ঠান দুটির কেমিকেল মিশ্রিত দূষিত বর্জ্য কারখানাসংলগ্ন ড্রেনের মাধ্যমে ইপিজেডের খাল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যায়।
মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শিল্প প্রতিষ্ঠান দুটির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এছাড়া ইটিপি অচল থাকায় অপরিশোধিত তরল বর্জ্য বঙ্গোপসাগরে ফেলে পানি ও পরিবেশ দূষণ করে আসছিল প্রতিষ্ঠান দুটি।
এ অপরাধে জেএফ টেক্সটাইলকে ১৭ লাখ ২৮ হাজার এবং মেসার্স ড্রিম নিটিংকে ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অভিযানকালে কারখানা দুটির বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তাৎণিকভাবে কারখানার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখা যায়, ড্রিম নিটিং-এর বর্জ্যে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা-১.৮ মিলিগ্রাম/লিটার (সহনশীল মাত্রা-৪.৫-৮.০) এবং জেএফ টেক্সটাইলের বর্জ্যে এ মাত্রা-২.৪ মিলিগ্রাম/লিটার।
এ মাত্রা জলজ প্রাণিসহ পরিবেশের জন্য মারাত্মক তিকর বলে উল্লেখ করেন মুনীর চৌধুরী।
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এ দুটি কারখানা কর্তৃপকে ইতোপূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরণ আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে ইটিপি স্থাপন ও পরিচালনা, নিজস্ব জলাধার নির্মাণ, তরল বর্জ্যের দূষণমাত্রা প্রতিবেদন উপস্থাপন ব্যতীত কারখানা পরিচালনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পরিবেশ আইনে এ দুটি কারখানা লাল শ্রেণীভুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১০