ঢাকা: ঢাকা সেক্টরের সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২য় দিনের মুলতবি বিচারের কার্যক্রম সোমবার সকাল ১০টায় বিডিআর পিলখানাস্থ দরবার হলে শুরু হয়েছে।
অভিযুক্তদের দোষ স্বীকারের মধ্য দিয়ে এ বিচার কাজ শুরু হয়।
এর আগে রোববার আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সোমবার বিচার কার্যক্রমে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্কও অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার সকাল ১০টায় পিলখানাস্থ বিডিআর দরবার হলে বিশেষ আদালত-১১-তে এ বিচার কাজ শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় শেষ হয়।
আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ময়মনসিংহ সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ। তার সহযোগী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন লে. কর্ণেল মো. শাহাদাত হোসেন ও মেজর একেএম আলমগীর হোসেন এবং এটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি মোহাম্মদ উল্লাহ কিসলু।
মামলায় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর রাইফেলস ব্যাটালিয়নের মেজর মো. তসলিম উদ্দিন ।
সদর ব্যাটালিয়নের ৮৬ জন আসামির মধ্যে দু’জন পলাতক থাকায় তাদেরকে মামলার বাইরে রেখে ৮৪ জনের বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার মামলার প্রসিকিউটর মেজর মো. তসলিম উদ্দিন অভিযোগের সারসংক্ষেপ আদালতে উপস্থাপন করেন। আসামিদের ১৭ জন ফ্রেন্ড অব দ্য একুইজড এবং ১৫ জন এডভোকেটের সাহায্য নেন। বাকিরা কারো সাহায্য নেননি।
রোববার বাদী ৮৪ জন আসামির বিরুদ্ধে সর্বমোট ৬টি অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন সক্রিয়ভাবে বিদ্রোহে অংশ নেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। চার্জ গঠনের জন্য আদালত ১০টা ৪৫ মিনিটে ৩০ মিনিটের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
আসামিদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে বলেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরে নিযুক্ত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জন নিহত হন।
উল্লেখ্য, বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকার্য তরান্বিত করার লক্ষে ১ আগস্ট বাংলাদেশ রাইফেলস অর্ডার ১৯৭২-এর সংশোধনী অনুযায়ী, ৬টি বিশেষ আদালতকে পুনর্গঠন করে সারা দেশে মোট ১০টি বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ঢাকায় ৫টি ও বাকি ৫টি ঢাকার বাইরে। আজ সোমবার এ আদালতের মাধ্যমে পুনর্গঠিত বিশেষ আদালতসমূহের যাত্রা শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময় : ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১০