ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড প্রতীকী ছবি

রাজশাহী: স্ত্রী হত্যার দায়ে আবদুল কুদ্দুস (৩০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় কুদ্দুসের মা মাসেকা বেওয়াসহ (৫০) আরও তিন আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কুদ্দুস রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।

 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০০৫ সালে কুদ্দুসের সঙ্গে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাছ আলী প্রামানিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের নয় বছর পর কুদ্দুস মিশুক কেনার জন্য ৬০  হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন।

যৌতুকের এই টাকার জন্য তার স্ত্রী শামিমাকে নির্যাতন শুরু করে কুদ্দুস। এর এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর কুদ্দুস তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ঘটনাটি তিনি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। হত্যার পর অন্য আসামিদের সহায়তায় স্ত্রীর মরদেহ শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।  

তবে এ ঘটনায় শামিমার বাবা আক্কাছ আলী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন । পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।  

রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে আসামিদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়ার পর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দেন।  

এদিকে, রাজশাহী জেলা পুলিশের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খুরশীদা বানু কনা জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্য তিনজন খালাস পাওয়াটা ঠিক আছে। তবে আসামি কুদ্দুস ন্যায় বিচার পাননি। তাই ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান এ আইনজীবী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।