ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামিন পাননি হল-মার্কের জেসমিন, চিকিৎসার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
জামিন পাননি হল-মার্কের জেসমিন, চিকিৎসার নির্দেশ

ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জামিন না দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তার মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপনের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এ মামলায় দুদকের আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, জেসমিন ইসলাম জামিন পাননি। তবে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পদক্ষেপ নিতে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ কে এম আমিন উদ্দিন জানান, গত ১৭ জুলাই জামিন নিয়ে রুল শুনানির সময় তার আইনজীবী জেসমিন ইসলাম অসুস্থ জানালে হাইকোর্ট কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার (জেসমিন ইসলাম) মেডিকেল রিপোর্ট চান। কাশিমপুর কারাগারের চিকিৎসক গত ২ আগস্ট স্বাক্ষরিত এক মেডিকেল প্রতিবেদন পাঠান। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসমিন ইসলাম হাইপারটেনশন, কার্ডিওলজি, গাইনি ও সাইকোলজিক্যালসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।  তাকে এরইমধ্যে তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করানো হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন।

মামলার দিন বিকেলে তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে গ্রেপ্তার করে।
 
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল–মার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। প্রতিষ্ঠান দু’টির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও আমদানি-রপ্তানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ওই সব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসেবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
 
এসব অভিযোগে জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারিক আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট একই বছরের ৫ নভেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন।  

প্রসঙ্গত, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪,২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।