ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামিন নিয়ে এজলাসে আইনজীবীদের বাগবিতণ্ডা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
জামিন নিয়ে এজলাসে আইনজীবীদের বাগবিতণ্ডা

বগুড়া: বগুড়ায় আসামির জামিন নিয়ে বাদী এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিচারকের টেবিলের কাচ ভাঙচুর করেন আইনজীবীরা। তবে ভাঙচুরের সময় এজলাসে বিচারক ছিলেন না।

সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হকের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামানসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আদালত পরিদর্শন করেন।

তবে এ বিষয়ে আদালতের পক্ষ থেকে এখনও থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

আদালত সূত্র জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল কাদেরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মরিয়ম জানতে পারেন তার বিয়েটি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। কোন মোহরানাও ধার্য করা নেই। তিনি বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর পরিবারকে জানিয়ে রেজিস্ট্রি করতে বলায় তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় মরিয়ম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করেন।

সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সেই মামলায় আসামিদের জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিলো। সে অনুযায়ী আসামি আব্দুল কাদের ও তার বাবা-মা হাজির হন। আসামিপক্ষে আতিকুল মাহবুব সালাম জামিন শুনানি করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন।

এক পর্যায়ে জামিন আর জামিনের বিরোধিতা করা নিয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এতে বিচারক এ কে এম ফজলুল হক বিব্রত বোধ করে এজলাস ত্যাগ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি বিচারকের টেবিলের কাচ ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি বাংলানিউজকে বলেন, আমি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেছি। এরপরও যখন আসামিদের জামিন দেওয়ার কথা বলা হয় তখন আমি বাদীর দেনমোহরের বিষয়টি উত্থাপন করি। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুল মাহবুব সালাম আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

বিচারকের টেবিলের কাচ ভাঙচুর করার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি বলেন, আদালতে উপস্থিত আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খালিকুল ইসলামও আমার ওপর চড়াও হন। এরপর বিচারক এজলাস ত্যাগ করলে আমি বেড়িয়ে আসি। তারপর কী হয়েছে আমি জানি না।

এজলাসে বাগবিতণ্ডার ব্যাপারে জানতে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুল মাহবুব সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার জানা যায়নি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে এখনও কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এমবিএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।