ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চুয়াডাঙ্গায় ২০ জনের চোখ হারানো নিয়ে রায় ২১ অক্টোবর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
চুয়াডাঙ্গায় ২০ জনের চোখ হারানো নিয়ে রায় ২১ অক্টোবর

ঢাকা: চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিয়ে ২০ জনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
 

এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
 
আদালতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন।

ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
 
রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। অপারেশনে যে কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শীর্ষক শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে  রিট করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।
 
এ রিটের পর ১ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই দিন অমিত দাসগুপ্ত জানান, ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে তিনদিনের চক্ষু শিবিরে চক্ষু চিকিৎসায় ২০ জনের চোখ অস্ত্রোপচারে কার্যকর, যথাযথ ও পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জনের প্রত্যেককে কেন এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, প্রয়োজনীয় নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়সারাভাবে চক্ষু অপারেশন করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
 
এ রুল শুনানির এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনকে তলব করেছিলেন।
 
সোমবার রায়ের দিন ধার্যের পর অমিত দাসগুপ্ত বলেন, আমাদের বক্তব্য ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।