ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

খুলনার ট্রিপল মার্ডারের রায় ঘোষণায় বিব্রত হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
খুলনার ট্রিপল মার্ডারের রায় ঘোষণায় বিব্রত হাইকোর্ট হাইকোর্ট, ফাইল ফটো

ঢাকা: খুলনার মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামসহ তিন জনের হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় রায় ঘোষণার দিনে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার  হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রতবোধ করে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।  

তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে এ ‍মামলার শুনানি হয়েছে।

আজ ছিল রায়ের জন্য। এরমধ্যে আদালত বিব্রতবোধ করে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন। এখন নিয়ম অনুসারে এটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি এ মামলার শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করবেন।  

২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট খুলনা মহানগরের শামসুর রহমান রোডের নিজ বাসভবন থেকে রিকশাযোগে আদালতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় মঞ্জুরুল ইমাম নিহত হন। এতে মঞ্জুরুলের সহযাত্রী আইনজীবী বিজন বিহারী মণ্ডল ও রিকশাচালক সাইদুল ইসলাম আকন্দও নিহত হন।

ঘটনার পর মঞ্জুরুলের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে খুলনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১১ মার্চ শুকুর গাজী, রিপন, গণেশ ও হাসান ইমামকে অভিযুক্ত করে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. শাহজাহান হাওলাদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। মামলার ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকেই খালাস দেন। এরমধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হন হাসান ইমাম। ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক অংশের মামলায় শুকুর গাজীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর দুই আসামি শেখ আবদুল রাব্বী ওরফে রিপন ও গণেশ ব্যানার্জিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।  

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য খুলনার আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। একইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শুকুর গাজী। এই ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিলের শুনানি শেষে ১২ জুলাই রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির আহমেদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
ইএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।