ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

খালেদার জামিন নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
খালেদার জামিন নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শুরু

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্ধারিত সময়েই শুনানি শুরু হয়।

এর আগে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আরো শুনানির আবেদন করেন।

এই আবেদনের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা না করে দুপুর ১২টায় অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানি করতে বলেন।

জামিন নিয়ে ১২টায় আরও শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার আগ মুহূর্তে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ মামলায় তার আরো কিছু সাবমিশন (শুনানি) বাকি রয়েছে, আদালতের কাছে আবেদন করেন। তিনি এ সাবমিশন রাখার জন্য একদিন সময় চান। তখন আদালত তাকে দুপুর ১২টায় এ সাবমিশন উপস্থাপন করতে বলেন।

এর আগে সবপক্ষের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ১৫ মে দিন নির্ধারণ করেন। দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি এবং খালেদার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।  
 
৮ মে সকালে খালেদার জামিন প্রশ্নে প্রথমে শুনানি করেন দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। পরে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও শুনানি করেন। এরপর খালেদার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী শুনানি শুরু করলেও অসমাপ্ত থেকে যায়। সেখান থেকেই ০৯ মে সকালে শুনানি শুরু করেন তিনি।

গত ০৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।
 
১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
 
এ লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।