ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘ক্রিকেটে জাতীয় স্বার্থ জড়িত, খর্ব হতে দেওয়া যাবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
‘ক্রিকেটে জাতীয় স্বার্থ জড়িত, খর্ব হতে দেওয়া যাবে না’

ঢাকা: ‘ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের জাতীয় স্বার্থ জড়িত। তাই কোনোভাবেই এ স্বার্থ খর্ব হতে দেওয়া যাবে না’।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এজিএম-ইজিএম বন্ধে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।  

আগামী ০২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) বন্ধ এবং বর্তমান পরিচালনা বোর্ডের কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেন সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদেশের দিন ধার্য করেন।

রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। বিসিবি ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালতে শুনানিকালে সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান, আকরাম খান, হাবিবুল বাসার সুমন ও খালেদ মাহমুদ সুজন উপস্থিত ছিলেন।
 
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, হাইকোর্ট এ কমিটিকে অবৈধ বলে রায় দেন। আপিল বিভাগ এ রায় বাতিল করেননি। ফলে এ কমিটি অবৈধ। এ কমিটি এজিএম করতে পারে না।

এ সময় আদালত বলেন, আপিল বিভাগতো বলেননি যে, এ কমিটি অবৈধ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করেননি আপিল বিভাগ। আপিলটির নিষ্পত্তি করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। কমিটি অবৈধ নাকি বৈধ- তা কিছু বলেননি আপিল বিভাগ। তাই এ কমিটি বৈধ বলে ধরে নিতে হবে।

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘ক্রিকেটের সঙ্গে আমাদের জাতীয় স্বার্থ জড়িত। তাই কোনোভাবেই এ স্বার্থ খর্ব হতে দেওয়া যাবে না’।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘২০০৮ সালে যে প্রক্রিয়ায় বোর্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন ও কমিটি গঠিত হয়েছিলো, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় ২০১৩ সালের কমিটিও গঠিত হয়। ফলে এ কমিটি আইনত তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিসিবি’র গঠনতন্ত্র সংশোধনের রায়ের সময় আপিল বিভাগ যদি বর্তমান কমিটিকে অকার্যর বলে গণ্য করতেন, তাহলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবি’র হাতে দিতেন না।

তিনি আরও বলেন, ‘রিট আবেদনকারী আগে একবার পরিচালক ছিলেন। এরপরে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেননি। করবেন কি-না, সেটি আমরা জানি না। ফলে তাকে সংক্ষুব্ধ (রিট করা), এটি বলা যাবে না’।

এ রিট আবেদনকে ‘নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা’র প্রয়াস বলেও উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর
** বিসিবি’র এজিএম-ইজিএম বন্ধ রাখতে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।