ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নতুন চেয়ারম্যান পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
নতুন চেয়ারম্যান পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

ঢাকা: চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুর দুই মাস পর নতুন চেয়ারম্যান পাচ্ছেন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পুনর্গঠিত হতে পারে বিচারক প্যানেলও।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একজন বিচারকের নামও পাঠিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ে। শিগগিরই নুতন চেয়ারম্যান নিয়োগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় সূত্র।

 

গত ১৪ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। বর্তমানে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি সোহরাওয়ারদী রয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে।

সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, বিচারপতি সোহরাওয়ারদীকে হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হতে পারে। আর হাইকোর্টের বিচারপতি আমির হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে নিয়োগে সম্মতি দিয়ে নাম পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তিন সদস্যের অন্যজনকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে সাবেক কোনো জেলা জজ থেকে।

সূত্রমতে, গত ১৫ জুন থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর সাবেক বিশেষ জজ মো. আবু আহমেদ জমাদার নিয়োগ পেতে পারেন।

তিনি যদি নিয়োগ পান তাহলে তিন সদস্যই হবেন সাবেক জেলা জজ। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম জেলা জজ থাকা অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি আমির হোসেন গাজীপুরের জেলা জজ থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। গত ফেব্রুয়ারিতে স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি।  

এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান হবেন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। তবে চেয়ারম্যান পদে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নামও শোনা গিয়েছিলো।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৩ মার্চ বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শাহীনুর ইসলাম। ট্রাইব্যুনাল-১ এ সদস্য করা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি আনোয়ারুল হককে।

২০১২ সালের মাঝামাঝি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য জহির আহমেদ পদত্যাগ করলে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে স্কাইপে আলোচনা নিয়ে বির্তক ওঠায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপতি নিজামুল হক। তার স্থলে ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফিরিয়ে আনা হয় বিচারপতি ফজলে কবীরকে।

ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে চেয়ারম্যান করা হয়। আগের সদস্য বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ছাড়াও সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়াকে আনা হয়।

বিচারপতি ফজলে কবীর অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পান। এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন- বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

পরবর্তীতে দুই নম্বর ট্রাইব্যুনালকে নিষ্ক্রিয় করে একটি করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সদ্য প্রয়াত বিচারপতি আনোয়ারুল হককে চেয়ারম্যান করা হয়। সদস্য হিসেবে রাখা হয় নিষ্ক্রিয় টাইব্যুনালের সদস্য  বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও হাইকোর্টের বিচারপতি সোহরাওয়ারদীকে।    

অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া হাইকোর্টে ফেরত যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।