ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলকে সরকারিকরণে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলকে সরকারিকরণে রিট

ঢাকা: পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকে সরকারিকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি মঙ্গলবার কার্যতালিকায় থাকবে।

রিট আবেদনে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজের পরিচালনা পর্ষদের (এডহক) চেয়ারম্যান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সরকারিকরণে কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি আর্জি জানানো হয়েছে।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৯২৬ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকে সরকারের অর্থায়নে ও নিয়ন্ত্রণে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮ সালে চার বছরের মেডিকেল কোর্স (এলএমএফ) চালু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯৪-১৯৯৫ সেশনে ইনস্টিটিউশনের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে মেডিকেল কলেজ করে ৬৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

২০১৬-২০১৭ সেশেনে ২৩তম ব্যাচে ১৩০ জনকে ভর্তি করা হয়। এ পর্যন্ত ১২৮১ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মেডিকেল কলেজের একটি হাসপাতাল থাকতে হয়। অথচ এখানে সরকারি হাসপাতাল আছে কিন্তু কলেজ বেসরকারি। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালকে সরকারিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ সরকারের সেখানে অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এদিকে কলেজের নামে বেসরকারিভাবে ছাত্র ভর্তি করে লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাই ১৯২৬ সালের এই ইনস্টিটিউটকে কলেজসহ সরকারিকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।