ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ করা উচিত ছিল’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
‘অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ করা উচিত ছিল’

ঢাকা: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে কেন্দ্র করে এবার অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগের কথা বললেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন ব্যারিস্টার তাপস। অনুষ্ঠানের আযোজন করে বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি।

তাপস বলেন, আমরা যখন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি, ঠিক সেইসময় এজলাসে বসে প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও অযোগ্য করতে পারেন। ’ আমি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলতে চাই, আপনার ওই সময় সঙ্গে সঙ্গে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। আপনি ওই সময় প্রধান বিচারপতিকে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলতেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে তাপস বলেন, প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীকে থ্রেট করেন, আর আপনি বসে বসে শোনেন। এতে আপনারই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি রায়ে জাতির জনক নিয়ে মন্তব্য করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। শপথ ভঙ্গ করেছেন। রায়ে আপনি নারী সংসদ সদস্যদের অসম্মান করে কথা বলে গোটা নারী জাতিকেই অপমান করেছেন।

অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে প্রধান বিচারপতির কথা মিডিয়ায় এসেছে ভুলভাবে। সেদিন অধস্তন আদালতের বিচারকদের রুলস ফ্রেমের শুনানি ছিল। আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমি বললাম বাইরের অবস্থা অনেক উত্তপ্ত। লম্বা করে সময় দেন। উত্তপ্ততা কমলে এর একটা সমাধান হবে। সেসময় উনি (প্রধান বিচারপতি) বললেন, ‘আমরা কি উত্তপ্ত করছি। আপনারাই তো উতপ্ত করছেন। পাকিস্তানে রায়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন। ’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাকে যদি উনি বলেন, আমি একজন অপরিপক্ব সংসদ সদস্য। আমার মতো ৮০ বছরের একজন লোককে বলেন, অপরিপক্ব। তাহলে আমি বলবো, তার মাথায় সমস্যা আছে। উনি যতোবার রায় বাতিল করবেন, ততোবার সংসদে ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হবে।  

কামরুল ইসলাম বলেন, আশা করি প্রধান বিচারপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন। তার আর পাঁচ মাস বাকি। তারপর তার কি হবে? সেটাই আমি ভাবি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
ইএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।