ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শিশু আব্দুল্লাহ হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি, ৩ জনের দণ্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
শিশু আব্দুল্লাহ হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি, ৩ জনের দণ্ড নিহত শিশু আবদুল্লাহ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ঢাকার কেরাণীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যার দায়ে একজনকে মুত্যুদণ্ড এবং অন্য ৩ জনকে  বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।  

বুধবার (১৪ জুন) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা  করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. খোরশেদ আলম পলাতক।

হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে তিনি পালিয়ে যান।

অন্য ৩ আসামির মধ্যে মেহেদী হাসান শামীমকে শিশু আইনে হত্যার দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং মিতু আক্তারকে আলামত গোপনের দায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি নাছিমা আক্তারকেও একই অভিযোগে আগে সাড়ে ৩ মাসের কারাভোগ করাকে দণ্ড গণ্য করে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে নাছিমা ও মিতু জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর মিতুকে হাইকোর্টে আপিলের শর্তে জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল।

মেহেদীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন গত বছরের ০৭ ফেব্রুয়ারি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। দণ্ডিত মেহেদী হাসান তার ছেলে, মিতু মেয়ে এবং নাছিমা স্ত্রী।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত আব্দুল্লাহ’র মা রিনা বেগম ও খালা মমতাজ বেগম। রায় ঘোষণার পর আদালতের করিডোরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রিনা বেগম। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন মমতাজ বেগম।

তবে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মাহবুবুর রহমান।

কেরাণীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) গত বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওইদিনই তাকে আসামি মেহেদী হাসান নিজেদের বাড়ির দ্বিতীয়তলায় নিয়ে যান। আসামি মোতাহার এবং খোরশেদ মুখ চেপে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা হয়।

এর আগে মোবাইলে আবদুল্লাহকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেন অপহরণকারীরা।

গত বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে আসামি মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহ’র গলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। এরপর ০৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন ৠাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

গত বছরের ০৫ মার্চ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

গত বছরের ০২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

গত ০৮ জুন উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন (আর্গুমেন্ট) শেষে ১৪ জুন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।