ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সেই ফেরদৌসের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
সেই ফেরদৌসের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ চাকরিচ্যুত শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস

ঢাকা: ছাত্রীদের যৌন হয়রানির মামলায় আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) চাকরিচ্যুত শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সোমবার (২২ মে) এ আদেশ দেন।

এইউএসটি’র চাকরিচ্যুত সহকারী প্রক্টর এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের (ইইই) ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজমের আদালতে।


 
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে গত বছরের ০৪ মে রাতে কলাবাগান থানায় শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলাটি করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদদৌল্লাহ আল সায়েম। ওই রাতেই কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দু’দিনের রিমান্ড শেষে ০৭ মে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, নগ্ন সেলফি প্রকাশ, ধর্ষণ চেষ্টা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক আফরোজা আইরীন কলি।

যৌন হয়রানির শিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীসহ মোট ২৮ জনকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক ফেরদৌস আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি ও প্রশ্নপত্র এবং ভাইভায় নম্বর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করেন। এক ছাত্রীর সরলতার সুযোগে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিজ বাসভবনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। পরে তার নগ্ন ছবি ওয়েবসাইট ও মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এছাড়াও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে তার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

পরে এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন দেন মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।