ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

এরশাদের রাডার মামলার সাক্ষী নিয়ে রিভিউ খারিজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
 এরশাদের রাডার মামলার সাক্ষী নিয়ে রিভিউ খারিজ ছবি: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার সাক্ষীদের নীরিক্ষার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সোমবার (২০ মার্চ) এ আদেশ দেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ নভেম্বর এ মামলার সাক্ষীদের নীরিক্ষা এবং বিচারিক কার্যক্রম আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।  পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানান মামলার অন্য আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ।

এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ০৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের  রায় বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের এ আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন জানায় দুদক। সোমবার সে আবেদন খারজি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় তার শাসনামলে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডারের বদলে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
 
১৯৯২ সালের ০৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে কমিশন) মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
 
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা না থাকলেও ২০০৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো বাদী আলী হায়দারকে আদালতে হাজির করেনি।

মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ। দেড় বছরে ২০১২ সালের ১ মার্চ এ সাক্ষ্য শেষ হয়।
 
২০১৪ সালের ১৫ মে এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন  নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলেন এরশাদ । সেদিন অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।

এ মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়। এরপর দুদক বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে আবেদন জানালে তা খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।