ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নাটোরে কিডনি চুরির মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
নাটোরে কিডনি চুরির মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

নাটোর: নাটোরের বেসরকারি জনসেবা হাসপাতালে কিডনি চুরির মামলায় জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে রোগীর শরীর পরীক্ষা-নিরিক্ষা সম্পন্ন করে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালত-১ এর বিচারক সামসুল আল আমীন এ আদেশ দেন।
 
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বকুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম আসমা বেগমের স্বামী ফজলু বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

ওইদিন ভিকটিম এবং বাদীকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সোমবার হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
 
নির্দেশনা অনুসারে দুপুরে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আদালতে হাজির হন ভিকটিম এবং মামলার বাদী। এ সময় ৩০ মার্চের মধ্যে রোগীর শরীর পরীক্ষা করে তার প্রতিবেদন জমা দিতে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।
 
দেড় বছর আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ের জনসেবা হাসপাতালে ভর্তি হন সিংড়া উপজেলার ফজলু বিশ্বাসের স্ত্রী আসমা বেগম। পরে কিডনিতে পাথর অপারেশন করান তিনি। কিন্তু অপারেশনের পর থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্প্রতি একই হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডান পাশের একটি কিডনি না থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে নাটোর, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা করানো হলেও কিডনি না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
 
এ অবস্থায় দোষীদের দৃষ্টান্তম‍ূলক শাস্তি চেয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক, হাসপাতালের পরিচালক ও অজ্ঞানকারী চিকিৎসকের নামসহ আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন ভিকটিম আসমা বেগমের স্বামী ফজলু বিশ্বাস।
 
আসামিরা হলেন- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী সার্জন ডা. এম এ হান্নান, নাটোরের জনসেবা হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. আমিরুল ইসলাম, পরিচালক রফিকুল ইসলাম, হাসপাতালের অজ্ঞানকারী চিকিৎসক ডা. এসবি হালদার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এনটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।