ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ঢাকা: সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার দায়ে মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত আকারে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এ হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন এবং আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আবার অভিযোগ গঠন করা হয়।  

২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। প্রায় সাত বছর পর গত ০৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

গত ০৬ জানুয়ারি থেকে আসামিদের আপিলের ওপর তিন কার্যদিবসে পেপারবুক উপস্থাপন শেষে ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।

এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষ হয় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই রায় ঘোষণার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন এ কে এম ফয়েজ ও মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।