ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চিকিৎসাসেবা না দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪
চিকিৎসাসেবা না দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান

ঢাকা: সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

রোববার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় নারী নীতি-২০১১’ শীর্ষক সেমিনারের ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।



মিজানুর রহমান বলেন, কমিশন মনে করে, সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং ফৌজদারি অপরাধের সমপর্যায়ে পড়ে। এর সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন করবেন বলে যে ঘোষণা, সে বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন কিনা- প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আইন কমিশনের কাছে পত্র দিয়ে অনুরোধ করেছি। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসাসেবায় যারা নিয়োজিত তাদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করার। যাতে সবাই তা মেনে চলতে বাধ্য হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে অবহিত করে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলেছি, বলে জানান মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।

সাত খুনের ঘটনাকে ‘জঘন্নতম অপরাধ’ উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পত্র দিয়ে অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে পাঠানোর জন্য বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়া মাত্র পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

সুযোগ এসেছে মানবাধিকার কমিশনকে নিয়ে ড. কামাল যে রিট মামলাটি করেছেন তাতে কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করছি, বিচলিত হচ্ছি, প্রস্তাব করছি- তার অনেক কিছুই কার্যকর হচ্ছে না। ২০০৯ সালের যে আইন দ্বারা কমিশন প্রতিষ্ঠিত, তাতে আমাদের সুপারিশমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখা হয়েছে, নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এমনিক নারায়ণগঞ্জ তদন্ত করতে আইনি বাধা রয়েছে।

আমাদের যে খেদ রয়েছে, আমরা যে কাজ করতে পারছি না, আইনগত অন্তরায়ের কারণে একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে রিটে বিবাদী করার মধ্য দিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে বলার সুযোগ এসেছে।

আমরা আশা করব, উচ্চ আদালত নিশ্চয়ই এমন কোনো নির্দেশ দেবেন যেন ভবিষতে অন্তরায় দূর করা যায়। আরো খোলামেলাভাবে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি হয়, বলেন মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।