ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ফৌজদারি আদালতের এখতিয়ার

মানবাধিকার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৪
ফৌজদারি আদালতের এখতিয়ার

ন্যায় বিচার পেতে হলে আমাদের আদালতের দারস্ত হতে হয়। কোনো ব্যক্তি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হলে আদালতের মাধ্যমেই তাকে তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয়।



কিন্তু আমাদের অনেকেই জানি না কোন আদালতের কী এখতিয়ার। আমাদের প্রার্থিত বিষয়ে বিচার করার এখতিয়ার কোন আদালতের আছে সেটি জানা অবশ্যই জরুরি। মামলা করার জন্য সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সাধারণত কোনো আইনজীবির স্মরনাপন্ন হন। ফলে আইনজীবিদের আদালতের এখতিয়ার জানা আরো বেশি জরুরি। তা নাহলে মামলাকারীরা আইনজীবীদের মাধ্যমেও হয়রানির শিকার হতে পারেন।  

আদালতের এখতিয়ার ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে এ আইনে কেবল ফৌজদারি অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার সম্পর্কে বলা আছে। দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বর্ণনা করা আছে দেওয়ানী কার্যবিধিতে।

কোনো ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ ছাড়া অন্যকোনো অপরাধ করলে এবং তার আদালতে হাজির হওয়ার অথবা তাকে হাজির করার তারিখে তার বয়স ১৫ বছরে কম হলে তার বিচার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট করতে পারবেন অথবা যে ম্যাজিস্ট্রেট যুব অপরাধীদেরকে আটক রাখা, তাদের বিচার করা এবং শাস্তি দেয়ার জন্য প্রণীত আইন অনুসারে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন, এবং যে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ক্ষমতা সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রয়োগ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি তা করতে পারবেন।

হাইকোর্ট বিভাগ আইনে অনুমোদিত যে কোনো দণ্ড প্রদান করতে পারেন। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ আইনে অনুমোদিত যেকোনো দণ্ড প্রদান করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে মৃত্যু দণ্ড প্রদান করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। হাইকোর্ট বিভাগ আইনে অনুমোদিত যে কোনো দণ্ড প্রদান করতে পারেন। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ আইনে অনুমোদিত যেকোনো দণ্ড প্রদান করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে মৃত্যু দণ্ড প্রদান করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

সহকারি দায়রা জজ মৃত্যুদণ্ড অথবা দশ বছরের বেশি কারাদণ্ড ছাড়া আইনে অনুমোদিত যেকোনো শাস্তি প্রদান করতে পারেন।

কোনো সহকারি দায়রা জজ অতিরিক্ত দায়রা জজ হিসেবে বিবেচিত হলে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আইনে অনুমোদিত যেকোনে দণ্ড প্রদান করতে পারবেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আইনে অনুমোদিত নি:সঙ্গ অবরোধসহ পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকার অর্থদণ্ড ও বেত্রাঘাত দেয়ার শাস্তি প্রদান করার এখতিয়ার রাখতে পারেন।

দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট্ আইনে অনুমোদিত নি:সঙ্গ অবরোধসহ সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকার অনধিক অর্থদণ্ড প্রদান করতে পারেন।

তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আইনে অনুমোদিত দু্ই বছরের অনধিক কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করতে পারেন।

কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত জরিমানার টাকা প্রদানে ব্যর্থতার জন্য কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত শর্ত সাপেক্ষে আইনে অনুমোদিত যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ড প্রদান করতে পারবেন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।