ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলানিউজ টি-২০ বিশ্বকাপ-২০২১

রোজা অবস্থায় মেসওয়াকের পদ্ধতি জানতে চাই?

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
রোজা অবস্থায় মেসওয়াকের পদ্ধতি জানতে চাই? আপনার জিজ্ঞাসা পর্ব-২৩

ঢাকা: অপার মহিমার মাস রমজান। আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠনের এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রমজান মাসকে সঠিকভাবে পালনে করণীয় ও বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ে জানার থাকে মুসল্লিদের।

এজন্য মাহে রমজানে বাংলানিউজের বিশেষ আয়োজন ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। এই আয়োজনের মাধ্যমে ([email protected] ঠিকানায় ইমেইল করে) পাঠক তার রমজান বিষয়ক প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন উত্তর।

পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফের আলোকে পাঠকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেবেন বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী।

প্রশ্নকর্তা: আনোয়ার হোসেন, জুরাইন, ঢাকা
প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় মেসওয়াক এর পদ্ধতি কী?
উত্তর: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রেখেও মেসওয়াক করতেন। আমের বিন রাবিয়া হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অসংখ্যবার রোজাবস্থায় মেসওয়াক করতে দেখেছি। (তিরমিজি : ৭২৫, হাদিসটিকে তিনি হাসান বলেছেন। হাদিসটি অনুসারেই আমল করা হবে। রোজা অবস্থায় মেসওয়াককে কেউ দূষণীয় মনে করেননি। তবে, কেউ কেউ গাছের কাঁচা ডাল দিয়ে মেসওয়াককে মাকরুহ মনে করেছেন। এমনই ভাবে, মাকরুহ মনে করেছেন দিবস শেষে মেসওয়াক করাকে। ) মেসওয়াকের প্রতি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।

হাদিসে এসেছে, অর্থাৎ, মেসওয়াক মুখের জন্য পবিত্রকারী ও রবের সন্তুষ্টি আনয়নকারী। (আহমদ: ৭, হাদিসটি সহি লিগায়রিহ) অপর হাদিসে এসেছে, ‘মেসওয়াকের ব্যাপারে আমাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, এমনকি একসময় আমার মনে হয়েছিল যে, এ ব্যাপারে আমার ওপর কোরআন কিংবা ওহি নাজিল হবে। (আহমদ : ২২/৩)

এ বিষয়ে স্পষ্ট যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো দিবসজুড়েই মেসওয়াক করতেন। দিবসের সূচনা বা সমাপ্তির মাঝে কোনো প্রকার পার্থক্য করতেন না। হাদিসে এসেছে, আমার উম্মতের ওপর যদি বিষয়টি কঠিন না হত, তবে প্রতি ওজুর সময় তাদের জন্য মেসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম। (আহমদ: ৯৯৩০)

অপর হাদিসে এসেছে, মুমিনদের জন্য যদি কষ্টকর না হত, তবে প্রতি নামাজের সময় আমি তাদের জন্য মেসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম। (মুসলিম: ২৫২) এসব হাদিসের ভিত্তিতে উলামায়ে কেরাম বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যক্তির জন্য যেভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় মেসওয়াক করা ফজিলতের বিষয়, তেমনিভাবে ফজিলতের বিষয় রোজাদারের জন্যও। (ইবনে খুযাইমা: খ: ৩, পৃষ্ঠা: ২৪৭)

রাসুলের অন্য হাদিসে বর্ণিত একটি উক্তি এ ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা তৈরি করবে না। উক্তিটি হচ্ছে, মেশকে আম্বরের সুঘ্রাণের চেয়েও আল্লাহর কাছে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ অধিক প্রিয়। (বোখারি: ১৮০৫)

জবাব প্রদানে: মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
লেখক: বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।