পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(১) আলিফ লাম মীম।
সূরা আল বাক্বারাহ
ফজিলত: এ সুরা বহু আহকাম সংবলিত সবচাইতে বড় সুরা। নবী করীম (সা.) এরশাদ করেছেন, সুরা বাক্বারাহ পাঠ কর। কেননা, এর পাঠে বরকত লাভ হয় এবং পাঠ না করা অনুতাপ ও দুর্ভাগ্যের কারণ। যে ব্যক্তি এ সুরা পাঠ করে তার উপর কোনো আহ্লে-বাতিল তথা জাদুকরের জাদু কখনও প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
নবী করীম (সা.) এ সুরাকে (সেনামুল-কোরআন) ও (যারওয়াতুল-কোরআন) বলে উল্লেখ করেছেন। সেনাম ও যারওয়াহ বস্তুর উৎকৃষ্টতম অংশকে বলা হয়। সুরায়ে বাক্বারায় আয়াতুল কুরসী নামে যে আয়াতখানা রয়েছে তা কোরআন শরীফের অন্যান্য সকল আয়াত থেকে উত্তম। (ইবনে কাসীর)।
হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন যে, এ সুরায় এমন দশটি আয়াত রয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সে আয়াতগুলো রাতে নিয়মিত পাঠ করে, তবে শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং সে রাতের মতো সকল বালা-মুসীবত, রোগ-শোক ও দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থেকে নিরাপদে থাকবে।
তিনি আরও বলেছেন, যদি বিকৃতমস্তিষ্ক লোকের উপর এ দশটি আয়াত পাঠ করে দম করা হয়, তবে সে ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করবে।
আয়াত দশটি হচ্ছে: সুরার প্রথম চার আয়াত, মধ্যের তিনটি অর্থাৎ, আয়াতুল-কুরসী ও তার পরের দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত। আহকাম ও মাসায়েল ও বিষয়বস্তু ও মাসায়েলের দিক দিয়েও সুরা বাক্বারাহ সমগ্র কোরআনে অনন্য বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার অধিকারী।
এ সুরায় এক হাজার আদেশ, এক হাজার নিষেধ, এক হাজার হেকমত এবং এক হাজার সংবাদ ও কাহিনী রয়েছে।
সম্পাদনায়:
মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এমএ/