ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারের ইফতার বায়তুল মোকাররমে

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারের ইফতার বায়তুল মোকাররমে ইফতারের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদে রোজাদারদের সম্মিলনে এক অনন্য ভাবগ-গাম্ভীর্যপূর্ণ সাম্যের পরিবেশের সৃষ্টি হয়- (ফাইল ফটো)

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করাবে। এই ইফতারের আয়োজন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইতোমধ্যে সরকারি এই সংস্থাটি মুসল্লিদের ইফতারের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নও করেছে। খবর বাসসের।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ২০০৯ সালের পর থেকে বৃহৎ পরিসরে ইফতারির আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছর এ আয়োজনের পরিসর বেড়েই চলছে।

এবার ইফতারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৭ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের রমজানে বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোজাদার ইফতারে অংশ নিয়েছেন। এবার এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক (মসজিদ ও মার্কেট) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে স্বল্প পরিসরে ব্যক্তি উদ্যোগে মসজিদে ইফতারের আয়োজন হলেও ২০০৯ সালের পর থেকে শেখ হাসিনার সরকারের উদার সহায়তায় ইফতারের এ পরিসর অনেক বেড়ে যায়।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, গত বছর (২০১৬) প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার রোজাদার এখানে ইফতার করেছেন। এবার এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ চিন্তা মাথায় রেখেই আসন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  
ইফতার করছেন রোজাদাররা- (ফাইল ফটো)
তিনি বলেন, প্রতি বছর ইফতারের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদে রোজাদারদের সম্মিলনে এক অনন্য ভাবগ-গাম্ভীর্যপূর্ণ সাম্যের পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এখানে থাকে না সামাজিক মর্যাদার কোনো ভেদাভেদ।

উপপরিচালক বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইফতারে ছোলা, মুড়ি, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, শরবত এবং ফলের মধ্যে কাঁঠাল, কলা ও আম দেওয়া হবে। প্রতিদিন মোট ৯০ থেকে ১০০ কেজি মুড়ি, ১০০ থেকে ১১০ কেজি ছোলা, ১২০ কেজি পেঁয়াজু, ৬০ কেজি বেগুনি, ১০০ কেজি খেজুর, ৮০ থেকে ১০০ কেজি জিলাপি, ৪০ থেকে ৫০ কেজি চিনি, ৫০ বোতল রুহ আফজা, তিন হাজার কলা বা সমপরিমাণ অন্য কোনো ফলের ব্যবস্থা থাকবে। গ্লাসে শরবত পরিবেশন করা হবে।  

ইফতার সরববাহের জন্য এবারও দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এতে সন্তোষজনক দর পাওয়া যায়নি। ইফতার সরবরাহের কাজ পাওয়ার জন্য দরপত্রে অনেকে এমন রেট দিয়েছে যে, তাতে ফাউন্ডেশনের মনে হয়েছে তারা মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে পারবে না। এজন্য এ প্রক্রিয়া বাতিল করে প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ) অনুযায়ী বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইফতার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।