ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

মুষ্ঠির চালে পবিত্র কোরআন শিক্ষার আয়োজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
মুষ্ঠির চালে পবিত্র কোরআন শিক্ষার আয়োজন ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ

ঠাকুরগাঁও: প্রতিবারের ন্যায় এবারও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের অধিকাংশ মসজিদে কোরআন শিক্ষা ও খতমে তারাবির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য মসজিদগুলো পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে।  

রমজান উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদেও ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।

ইতোমধ্যে মসজিদে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তারাবির নামাজের জন্য আলাদা করে দুই জন হাফেজও নিয়োগ করানো হয়েছে।  

কেন্দ্রীয় মসজিদে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকার লোডশেডিং হলেও মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের কষ্ট পোহাতে  হয় না। ঠাকুরগাঁও শহরের হলপারার বাসিন্দা ফজলে ইমাম বুলবুল জানান, কেন্দ্রীয় মসজিদে সুপরিসর অজুর স্থান, অত্যাধিক সাউণ্ড সিস্টেম ও জেনারেটরসহ নানাবিধ সুব্যবস্থা থাকায় মুসল্লি উপস্থিতির হার অনেক বেশি।  

রমজানের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সামনে‌ই শুরু হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। রমজান মাসে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজের পর বিশেষ তালিম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বয়স্কদের কোরআন শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় সূরা-কেরাত ও দোয়া-দরুদ শিখতে পারবেন।  

খতিব সাহেব আরও জানান, তারাবির জন্য দুই জন হাফেজ নিয়োগ করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও গরীব-মিসকিন এবং মুসাফিরদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হবে।  

রমজান মাস গোনাহ মাফের মাস। এ মাসে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিমিত্তে একমাস সিয়াম পালন করে থাকেন। রমজানের রোজার প্রতিদান মহান আল্লাহ নিজ হাতে বান্দাদের প্রদান করবেন। অন্য মাসের তুলনায় রমজানে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যায়। মানুষ ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়।  

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় নানাবিধ সমস্যার মধ্য দিয়েই রমজান কাটাতে হয়। এর সত্যতাও মিলল।  
ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
৪ নং বড়গাঁ ইউনিয়নের মোলানখড়ি মিয়াজিপাড়া গ্রামের মসজিদের মুসল্লিদের কাছ থেকে জানা যায়, গ্রামের মসজিদে তেমন কোনো সুব্যাবস্থা নেই।

মসজিদের সভাপতি আব্বাস আলী বাংলানিউজকে জানান, মসজিদে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও লোডশেডিংয়ের কারণে মুসল্লিরা শান্তিমতো নামাজ আদায় করতে পারেন না। মসজিদের নিজস্ব অজুখানা ও বাথরুম না থাকায়- মুসল্লিদের কষ্ট করে মসজিদের আশপাশের বাড়ী থেকে অজু ও বাথরুম সারতে হয়।

তার পরও আসন্ন রমজানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন- এমনটাই জানালেন ইমাম হাফেজ তৌমুর রহমান। তিনি বলেন, তারাবির জন্য হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিগত ৫ বছর ধরে আমি এই মসজিদে তারাবির ইমামতি করি।  

জেলার বেশ কয়েকটি মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, খতিব ও কমিটির লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ মসজিদে পবিত্র মাহে রমজানে কোরআন শিক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাম এলাকার মসজিদে অর্থ সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও বাড়ি বাড়ি মুষ্ঠির চাল তুলে কোরআন শিক্ষার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, জেলার বড় মসজিদসহ প্রায় সব মসজিদই মুসল্লিদের দানের অর্থে পরিচালিত হয়।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।