ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কেরালায় বন্যায় ৩২৪ জনের মৃত্যু, আশ্রয় শিবিরে সোয়া ২ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
কেরালায় বন্যায় ৩২৪ জনের মৃত্যু, আশ্রয় শিবিরে সোয়া ২ লাখ শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত কেরালা রাজ্য

ঢাকা: ভারতের কেরালায় শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় গত ৯ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৪ জনে। ঘরবাড়ি হারিয়ে ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন দুই লাখের বেশি মানুষ।

বন্যা, ভূমিধসের সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন স্বল্পতা ও জ্বালানি স্টেশনগুলো অকেজো হওয়ায় রাজ্য গভীর সংকটে পড়েছে।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১০টার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখতে কেরালা রাজ্যে যান।

রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী পিনারায়ী বিজয়ান বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রের মতো উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত কেরালা রাজ্যরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর অফিসের টুইটের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কেরালা ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। ৮০টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৩২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ লাখ ২৩ হাজার ১৩৯ জনের মতো মানুষ দেড় হাজারেরও বেশি ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

এ পর্যন্ত ৪২ নৌবাহিনী, ১৬ সেনাবাহিনী, ২৮ কোস্টগার্ড এবং ৩৯ ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স (এনডিআরএফ) টিম উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে। আরও ১৪ এনডিআরএফ টিম শিগগির উদ্ধার কাজ শুরু করবে। ২০০টিরও বেশি সামরিক বোট উদ্ধার কাজ করছে। এছাড়া আরও চারটি এয়ারক্র্যাফ্ট ও তিনটি কোস্টগার্ডের জাহাজ উদ্ধার কাজে আনা হয়েছে। শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত কেরালা রাজ্যরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আমি আরও হেলিকপ্টার দেওয়ার অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, কিছু এলাকায় হেলিকপ্টারেই উদ্ধার সম্ভব। হাজার হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির এলাকাগুলোতে আরও ১১টি হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমইউএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।