ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ক্ষমা চেয়ে খুদে ফুটবলারদের ‘বাবা-মাকে’ কোচের চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৮
ক্ষমা চেয়ে খুদে ফুটবলারদের ‘বাবা-মাকে’ কোচের চিঠি .

এখনও হয়তো কোন মা প্রিয় খাবারটি নিয়ে বসে আছেন। কিংবা কোন বাবা সন্তানের প্রিয় চকলেটটি নিয়েই ঘরে ফেরেন। কিন্তু তাদের ঘরজুড়ে সীমাহীন শূন্যতা। কোচের ওপর ভরসা করে খুদে ফুটবলারদের ভ্রমণে পাঠিয়েছিলেন ‘বাবা-মা’য়েরা। ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও আদরের সন্তানরা ঘরে ফেরেনি। এখনও গুহার ভেতরেই থাকতে হচ্ছে তাদের। 

এরইমধ্যে অক্সিজেন সরবরাহে গিয়ে এক ডুবুরির মৃত্যুতে নতুন করে সংশয়ও উঁকি দিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, পুরো ঘটনার দায় কোচের।

তার খানিকটা সতর্কতা হয়তো এতো এতো সংশয়, অনিশ্চয়তার জন্মই দিতো না। এবার এই কোচই খুদে ফুটবলারদের ‘বাবা-মা’য়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেগঘন এক চিঠি লিখেছেন।     

কোচ ছাড়াও ফুটবলাররা তাদের বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছেন। ডুবুরি দলের সদস্যদের হাত দিয়ে চিঠিগুলো পাঠিয়েছেন তারা।  

২৫ বছর বয়সী ফুটবল দলের কোচ চিঠিতে লিখেছেন, প্রত্যেক বাচ্চার বাবা-মাকে লিখছি। এখন বাচ্চারা সুস্থ আছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের খুব ভালো যত্ন নিচ্ছেন। আমি আপনাদের প্রতিজ্ঞা করছি, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে বাচ্চাদের যত্ন নেবো। সব সহযোগিতার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চাইছি।  

খুদে ফুটবলাররাও তাদের চিঠিতে বাবা-মাকে চিন্তা করতে বারণ করে চিঠিতে লিখেছে, তারা যথেষ্ট শক্তিশালী, তাদের মনোবল দৃঢ় রয়েছে।

প্রিয় বাবা-মাকে লেখা চিঠিতে তারা আরো লিখেছে, গুহায় তারা বেশ ভালোভাবে ডুবসাঁতার শিখছে। চিঠিতে প্রত্যেকে তাদের পরিবারকে ভীষণ মিস করছে জানিয়ে নোট অংশে বিভিন্ন রকম খাবারের আবদারও করেছে তারা।  

এক খুদে ফুটবলার তার শিক্ষককে লিখেছে, স্যার, আমাদের অতিরিক্ত বাড়ির কাজ দেবেন না!

উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, খুদে ফুটবলাররা এখনও ভালোভাবে ডুবসাঁতার শিখতে পারেনি। একারণে এ মূহূর্তে উদ্ধার নিয়ে তারা ভাবছেন না। তবে আবার ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে তারা বাচ্চাদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করবেন।  

থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই অঞ্চলের গর্ভনর নারংসাক অসোতথানকরণ বলেছেন, প্রত্যেকটি ছেলের স্বাস্থ্যগত অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য অবস্থা এখন স্বাভাবিক।  

উদ্ধার কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা নারংসক বলেছেন, খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচকে পর্যাপ্ত খাবার, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।  

গত ২৩ জুন চিয়াং রাই প্রদেশের একটি পাহাড়ি গুহায় প্রবেশের পর নিখোঁজ হয় খুদে ফুটবল দলের সদস্য ও তাদের কোচ। দলে খেলোয়াড়দের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।